আমজাদ হোসেন,পাবর্তীপুর (দিনাজপুর)
২৯মে (রবিবার)ভোর রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুর মহাসড়ক কৈবত্যপাড়া মোড় নামক স্থানে অনুমানিক ভোর রাত তিন/চারটার দিকে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ১৩টি ট্রাকের ড্রাইভার,হেলপার ও মোটরসাকেইল আরোহী সহ ৩০থেকে ৩৫ জন এই ডাকাতির শিকার হয়।
ডাকাত দলের একটি সঙ্ঘবদ্ধদল পূর্ব থেকেই সেখানে অতপেতে থাকে সুযোগ বুঝে গাছের গুঁড়ি ফেলে পর্যাক্রমে একেরপর এক গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি সুরু করে। ডাকাতের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল,রড়, রামদা দিয়ে ড্রাইভার-হেলপারদের বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা,মুখ- চোখ বেধে সকলকে পাথরের ট্রাকের উপরে উঠিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নগদ অর্থ মোবাইলসহ যার যা পেয়েছে তাই ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতের সঙ্ঘবদ্ধ দলটি।
মন্মথপুর বাজারের ধান ব্যাবসায়ী মোঃ আমিনুল ইসলাম আমিনের ম্যানেজার মান্নু তার একটি ধান বোঝাই ট্রাক্টর রংপুরের তারাগঞ্জে রাস্তার মধ্যে ফেঁসে গেলে সেই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি মেকার নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফেঁসে যাওয়া গাড়িটির সমস্যার সমাধান করে বাড়ীতে ফিরতে রাত অনেক গভির হয়ে যায়।
মোটরসাইকেল চালিয়ে নির্ভয়ে আসতে থাকেন।ঘটনাস্থল কৈবত্য পাড়া মোড়ে পৌঁছলে সেখানে অনেক গুলি গাড়ির জটলা দেখে দূর্ঘটনা মনে করে থামাতে গেলে ডাকাতদল তার দিকে ছুটে আসে।তিনি তখন কাছে থাকা ৭৬হাজার টাকার বান্ডিলটি দ্রুত জমিতে ছুড়ে ফেলেন।
ডাকাতদল টাকার বান্ডেল ছুঁড়ে ফেলা দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে বাইকের চাবি খুলে নিয়ে এলোপাথাড়ী মারতে থাকেন মান্নুকে একপর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মাটিতে সোয়ায়ে গলায় ছুরি চালাতে গেলে হাত জোড় করে প্রান ভিক্ষার আবেদন করেন।এরপর তাকে ছেড়ে দিলে তিনি প্রানে বেঁচে যান।
অপর দিকে কৈবত্যপাড়ার ট্রাক্টর নিয়ে আসা কার্তিক রায়,সুজিত বিশ্বাস ঘটনাস্থলের কাছা-কাছি এসে ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়ি থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ততক্ষণে ডাকাতদল তাদের তাড়া করে ধরে এনে গাছের সাথে বেঁধে চরম মারধোর করেন।
ধারনা করা হচ্ছে,সেখানে ডাকাতদল কয়েক লক্ষ নগদ টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে নিরাপদে সটকে পড়ে।
ব্যস্ততম সড়কে ডাকতির এই ঘটনা অত্র এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে।
সেই সাথে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এই ঘটনার পর আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতিকে দায়ী করছনে।